Table of Contents
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে ২০২৫: নীতিমালায় নতুনত্ব, বাড়ছে বৃত্তির টাকা!
দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও ফিরছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা! প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন উদ্যোগে, ২০২৫ সাল থেকেই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এই বহুল কাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। একটি নতুন খসড়া নীতিমালা এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে এবং এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মূল আকর্ষণ: কী থাকছে নতুন নীতিমালায়?
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবারের বৃত্তি পরীক্ষা আগের নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কিছু যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি করা এবং তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো।
শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি: সবার জন্য সুযোগ?
আগের নিয়মে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারতো। তবে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এই হার বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, এই হার ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে আরও বেশি শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।
বৃত্তির টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ হচ্ছে!
দীর্ঘদিন পর বৃত্তি পরীক্ষা ফেরার পাশাপাশি, বৃত্তির টাকার পরিমাণও বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। ২০০৯ সালে সর্বশেষ চালু থাকা সময়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত একজন শিক্ষার্থী মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা ২২৫ টাকা পেত। বর্তমান বাজারমূল্য ও শিক্ষা উপকরণের দাম বিবেচনা করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তি ২২৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ মেটাতে কিছুটা সহায়ক হবে।
কবে হবে এই পরীক্ষা?
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শেষে এই বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব পদক্ষেপ নেবে।
বিতর্ক ও শিক্ষাবিদদের উদ্বেগ: বৈষম্যের আশঙ্কা?
বৃত্তি পরীক্ষা চালুর খবরে অভিভাবকরা খুশি হলেও, শিক্ষাবিদ ও এনজিওকর্মীরা এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই পরীক্ষা বিদ্যালয়গুলোতে বৈষম্য তৈরি করতে পারে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, বৃত্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষকরা কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পারেন, যা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের প্রতি অবহেলার কারণ হতে পারে। অধ্যাপক মনজুর আহমদ মনে করেন, বাস্তবে এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই এবং এ পরীক্ষা নিলে বরং ক্ষতি হতে পারে। তাদের উদ্বেগ হলো, এটি দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের নিরুৎসাহিত করতে পারে।
আপনার মতামত কী?
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ফিরিয়ে আনার এই উদ্যোগকে আপনি কীভাবে দেখছেন? এটি কি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে, নাকি বৈষম্য বাড়াবে? আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট করে জানান।
#প্রাথমিকবৃত্তিপরীক্ষা #PSC বৃত্তি #বৃত্তিপরীক্ষা #SSC2025 #শিক্ষা_নীতিমালা #শিক্ষা_সংবাদ #শিক্ষার্থী_বৃত্তি #প্রাথমিক_শিক্ষা #বাংলাদেশ